বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২২ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ জাপানে এলডিপি-র নেতৃত্বাধীন জোট পার্লামেন্ট নির্বাচনে ২১৫টি আসনে জিতেছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য তাদের প্রয়োজন ছিল ২৩৩টি আসন।
এলডিপি-র নতুন নেতা শিগেরু ইশিবা প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেয়ার আগেই এই নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু নির্বাচনে তিনি বড় ধাক্কা খেলেন। সোমবার তিনি জানিয়েছেন, ”ভোটদাতারা আমাদের কঠিন শাস্তি দিয়েছে। এই ফলাফল আমি মাথা পেতে নিচ্ছি। জাপানের মানুষ চাইছে, এলডিপি যেন আত্মসমীক্ষা করে। আমরা মানুষের ইচ্ছে অনুযায়ী কাজ করব।
গত মাসে এলডিপির প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন ইশিবা। সাত দশক ধরে তার দল জাপানের শাসনক্ষমতায় রয়েছে। তবে দলের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতার পর ৬৭ বছর বয়সী সাবেক এই প্রতিরক্ষামন্ত্রী ১ অক্টোবর জাপানের প্রধানমন্ত্রী হন। এরপর নতুন জাপানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন। কিন্তু তার দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হওয়ায় এখন তার রাজনীতির ভবিষ্যতও প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
নির্বাচনের আগের জনমত জরিপে দেখা গেছে, এলডিপি ও তাদের দীর্ঘদিনের অংশীদার কোমেইতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে পারে। গত কয়েক বছর ধরেই জাপানে একদিকে যেমন জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে তেমনি প্রতিবেশী দেশ চীনের সঙ্গে উত্তেজনাও বেড়েছে।
এক বিবৃতিতে ইশিবা বলেন, নির্বাচনের ফলাফল তারা বিনয়ের সঙ্গেই গ্রহণ করবেন। জাতীয় প্রচারমাধ্যম এনএইচকের কাছে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ভোটাররা আমাদের কঠোর রায় দিয়েছেন এবং বিনয়ের সঙ্গেই আমাদের তা গ্রহণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জাপানের জনগণ এলডিপির প্রতি তাদের দৃঢ় আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছে যাতে তারা এসবের প্রতিফলন ঘটাতে পারে এবং এমন একটি দল হয়ে উঠেছে যা জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করে আসছে।
নির্বাচনের আগে জাপানি মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে যে, এলডিপি যদি সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় তবে ইশিবাকে দায়িত্ব ছাড়তে হতে পারে। ফলে যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে জাপানের সবচেয়ে কম সময়ের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন তিনি।
২০০৯ সালের পর প্রথম বারের মতো পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালো এলডিপি। ১৯৫৫ সালে দলটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে তারাই সবচেয়ে বেশি সময় দেশ শাসন করেছে। এদিকে নির্বাচনে বিরোধী দল কন্সটিটিউশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (সিডিপি) ১৪৮ আসনে জয় পেয়েছে।